কল্যাণীতে আলো নিভিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের পেটানোর অভিযোগ, শাসক অনুগত নেতার কুম্ভীরাশ্রু
কল্যানী সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের পাশে অবস্থানরত পার্শ্বশিক্ষকদের উপর বিনা প্ররোচনায় বেপরোয়া লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পার্শ্ব শিক্ষকদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধের পর আলো নিভিয়ে আচমকা মারতে শুরু করে পুলিশ। মহিলাদের উপরেও পুরুষ পুলিশরা ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর করে বলে সংবাদমাধ্যমে সরব হয়েছেন মাস্টারমশাই-দিদিমণিরা। পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, অন্ধকারে পেটানোর সময়েই একাধিক দিদিমণির পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার সমকাজে সমবেতন-সহ আট দফা দাবি নিয়ে উল্টোডাঙা হাডকো মোড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পার্শ্ব শিক্ষকদের জমায়েতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় ভিআইপি রোড। যান চলাচলে প্রভাব পড়ে বাইপাসেও। পার্শ্ব শিক্ষকদের বিরাট মিছিল শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটার সময়ে রওনা দেয় বিকাশ ভবনের উদ্দেশে। পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নেতারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। জানবেন দাবি। কিন্তু তাঁদের মিছিল বিকাশ ভবন পৌঁছনোর আগেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিকাশ ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান। চলে যান সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের জেরায় হাজিরা দিতে।
প্রবল বৃষ্টি আর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর পার্শ্ব শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা বিকাশ ভবনের কাছেই অবস্থান করবেন। কিন্তু পুলিশ বসতে দেয়নি। এরপর ধর্মতলায় অবস্থানে বসার কথা ভাবেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ। এরপর কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে কল্যাণী বাস টার্মিনালে বসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। পরিকল্পনা ছিল, সোমবার ফের জমায়েত করে বিকাশ ভবন যাবেন মিছিল নিয়ে। কিন্তু তার মধ্যেই এই ঘটনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবার রাত থেকেই ভাইরাল হতে শুরু করে পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর পুলিশি ‘হামলা’র ক্লিপিং ও ছবি। পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত ফুঁসছেন ‘আক্রান্ত’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রবিবার সকাল থেকে ফের জমায়েতের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। যদিও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর এ হেন আচরণ নিয়ে পুলিশ নীরব। অন্য দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে শাসক দলের অনুগত পাশ্ব শিক্ষক নেতার কুম্ভীরাশ্রু সকল কে অবাক করে দিয়েছে ।
No comments