৭ই মার্চ বিকাশ ভবনে পার্শ্ব শিক্ষকদের ধর্নার ডাক।
৪৮ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা র স্বার্থে ভাতা ব্যবস্থার অবলুপ্তি ঘটিয়ে গ্রেড পে সহ পে স্কেল চালু করা, সমকাজে সম বেতন চালু করা, পার্শ্বশিক্ষিকাদের সি.সি.এল চালু করা, নিযুক্তির দিন থেকে ই.পি.এফ প্রদান করা ইত্যাদি দাবী আদায়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে আগামি ৭ই মার্চ থেকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান ও ধর্ণা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের সমস্যা নতুন কিছু নয়। বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে তিনি পার্শ্বশিক্ষক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবেন এবং স্থায়ী শিক্ষকদের মতো বেতন কাঠামো দেবেন; এমন কি প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি তিন বছরের মধ্যে তাদের ধাপে ধাপে স্থায়ী করারও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর প্রায় আট বছর হয়ে গেলেও কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বিগত আট বছর পরে বর্তমান সরকার মাত্র একবার সামান্য ভাতা বাড়ালেও চালু থাকা ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠন সূত্রে দাবী, এস.এস.সি আপার প্রাইমারিতে ১০ শতাংশ পার্শ্বশিক্ষক সংরক্ষণও লাগু করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। আজ কর্মজীবনের ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকতা করলেও এবং NCTE র নিয়ম অনুসারে ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ নিলেও বর্তমানে একজন প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে এককালীন মাসিক ভাতা পাচ্ছে যথাক্রমে ১০ ও ১৩ হাজার টাকা। নেই কোনো বাতসরিক ডি.এ ও ইনক্রিমেন্ট। বিগত কয়েক বছরে আর্থিক দৈন্যতার কারণে সুচিকিতসার অভাবে বহু সংখ্যক শিক্ষক কে অকালে হারিয়েছেন বলে সংগঠন সূত্রে দাবী । উক্ত সমস্যাগুলি পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকার জীবন নরক বানিয়ে রেখেছে,এই নরক থেকে উদ্ধার পেতেই আন্দোলন। ঐক্য মঞ্চের পক্ষে ভগিরথ ঘোষ বলেন আসুন সবাই আগামী ৭ই মার্চ বিকাশভবন, সাথে সহকর্মীকেও নিয়ে আসুন,নিজ দায়িত্বে আন্দোলনকে সাফল্যমণ্ডিত করুন।
No comments