Header Ads

Header ADS

নন্দীগ্রামের আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় পরিদর্শনে এসইউসিআই’র প্রতিনিধি দল

আমফান সাইক্লোনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নন্দীগ্রামের কয়েকটি বিধ্বস্ত অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে আজ এসইউসিআই দলের এক প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখেন। তাঁরা দুর্গতদের সাথে কথাও বলেন। পরে তারা নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অভিষেক রায়ের কাছে ৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও দেন।


ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য নন্দ পাত্র, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুব্রত দাস, জেলা কমিটির সদস্য চিন্ময় ঘোড়ই, নন্দীগ্রাম লোকাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দাস প্রমুখ। রাজ্য কমিটির সদস্য নন্দ পাত্র বলেন, আমরা আজ কেন্দেমারি, সোনাচূড়া, মহম্মদপুর, সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপীমোহনপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পুরুষোত্তমপুর, মহম্মদপুর গ্রামগুলিতে গিয়েছিলাম। বহু মানুষের সঙ্গে কথাও বলেছি। ওখানকার মানুষের এখন প্রধান সমস্যা হল – পানীয় জল। পুকুরগুলিতে গাছ পড়ে গিয়ে গাছের পাতা পচে জল ভীষণভাবে দূষিত হয়েছে। সেই জল ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। অন্যদিকে সাবমারসিবলগুলি বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ থাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট। সব মিলিয়ে মানুষজন চরম সমস্যার সম্মুখীন এখন। অবিলম্বে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে গ্রামবাসীরা ভীষণ অসুবিধায় থাকবেন।

দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল- অবিলম্বে ওই দুর্গত এলাকায় জেনারেটরের মাধ্যমে পাম্প চালানোর ব্যবস্থা করে পানীয় জলের ব্যবস্থা, এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন, দুর্গতদের মধ্যে ত্রিপল- শুকনো খাবার সহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ, পুকুরের জল শোধনের জন্য অবিলম্বে ব্লিচিং, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, চুন সরবরাহ প্রভৃতি। অন্যদিকে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব মাইতি ও জেলা কমিটির সদস্য জ্ঞানানন্দ রায়ের নেতৃত্বে অপর এক প্রতিনিধি দল হলদিয়া এবং মহিষাদল এলাকার বিভিন্ন দুর্গত গ্রামগুলি পরিদর্শন করেন।

দলের জেলা সম্পাদিকা অনুরূপা দাস বলেন, নন্দীগ্রাম, মহিষাদল, হলদিয়া, খেজুরি, রামনগর ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দলের পক্ষ থেকে আজ ও আগামীকাল কয়েকটি প্রতিনিধিদল যাবেন।
এরপর দুর্গতের দাবি সহ আমফান পরবর্তী পরিস্হিতিতে জেলাবাসীর বিভিন্ন দাবীতে আগামী ২৬ শে মে জেলাশাসককে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। সাথে সাথে দলের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ত্রাণ ও মেডিক্যাল টিম পাঠানো হবে দুর্গত এলাকায়।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.