স্বাধীনতার ব্যাপার ,সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষাবিদ,বাংলাদেশ
স্বাধীনতার কথা বলছে সবাই, বলে সবাই, কিন্তু স্বাধীনতা কার? কেন, কার অাবার? স্বাধীনতা দেশের। অবশ্যই দেশের জন্যই স্বাধীনতা, দেশেরই স্বাধীনতা। তবে একটা কথা থেকে যায়। দেশটা কার?
একটু ভাবলেই বোঝা যাবে দেশটা মানুষের, দেশের মানুষের।
দেশের মানুষ ছাড়া দেশ নেই। তাই স্বাধীনতাও দেশের মানুষেরই স্বাধীনতা। সব জিনিসেরই পরীক্ষা অাছে। পরীক্ষা করে অামরা জেনে নিই জিনিসটার দাম কত, জিনিসটা খাঁটি নাকি নকল। স্বাধীনতারও পরীক্ষা অাছে নিশ্চয়ই। স্বাধীনতার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা হচ্ছে দেশের মানুষের স্বাধীনতা অাছে কিনা সেটা দেখা। এর বাইরে অন্যসব পরীক্ষারর কথা কেবলি অাওয়াজ, কেবলি প্রচার। তার ভেতরে সত্য নেই, থাকে না।
তাই দেখতে হবে দেশের মানুষের স্বাধীনতা অাছে কিনা। কিসের স্বাধীনতা? স্বাধীনতা নিজ নিজ মতামত প্রকাশ করবার।স্বাধীনতা চলাফেরা। কিন্তু তারও অাগে অাসে খাওয়া - দাওয়ার ব্যাপারটা। স্বাধীনতা থাকা চাই খিদে পেলে খাবার। সে স্বাধীনতা যদি না থাকে, ক্ষিদে পেলে যদি খাওয়া না পাই, যদি শুকিয়ে যাই অনাহারে, মরে যাই অাকালে, তাহলে স্বাধীনতা কিসের? রোগ হলে যদি কেউ চিকিৎসা না পায় তাহলে কি বলা যাবে সেই মানুষটি স্বাধীন? স্বাধীনতা থাকা চাই জামা কাপড় পরার। কেউ যদি কাপড় না পায় গা ঢাকবার, তাহলে সে কোন স্বাধীন কি স্বাধীন না এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে কি লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেলতে হবে না অামাদের? অথবা এমন যদি হয় লোকটার কোন ঠিকানাই নেই, সে পড়ে থাকে যেখানে সেখানে যেন ইট, কিংবা পাথর। সেই যে ইঁট পাথরেরও মতো মানুষটি, সে লাথি খায়, গুঁতো খায় যেতে অাসতে। তুলে ফেলে দেয় হয়তো কেউ রেগেমেগে, তার কাছে খাতা হাতে গিয়ে তুমি কি জিজ্ঞেস করবে, -" ওহে ভাই তুমি কি স্বাধীন?" পারবে জিজ্ঞেস করতে?
স্বাধীনতা অাসলে এ সবই। এসবই স্বাধীনতার পরীক্ষা। দেখতে হবে দেশের মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, বস্ত্র, চিকিৎসার সুযোগ অাছে কিনা, তার শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা রয়েছে কি নেই। স্লোগান নিয়ে, অাওয়াজ দিয়ে, সভা করে, কবিতা লিখে, কিংবা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা ছাপিয়ে অামরা হট্টগোল বাধাতে পারবো হয়তো ঠিকই, কিন্তু এই যে একেবারে প্রাথমিক অধিকারগুলোর কথা বললাম, এগুলো যদি না থাকে দেশের মানুষের, তাহলো অবশ্যই বুঝতে হবে এর ভেতরে কোথাও একটা গোলমাল অাছে। স্বাধীনতা ঠিক স্বাধীনতা হয়ে ওঠেনি। .................
দেশের মানুষ ছাড়া দেশ নেই। তাই স্বাধীনতাও দেশের মানুষেরই স্বাধীনতা। সব জিনিসেরই পরীক্ষা অাছে। পরীক্ষা করে অামরা জেনে নিই জিনিসটার দাম কত, জিনিসটা খাঁটি নাকি নকল। স্বাধীনতারও পরীক্ষা অাছে নিশ্চয়ই। স্বাধীনতার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা হচ্ছে দেশের মানুষের স্বাধীনতা অাছে কিনা সেটা দেখা। এর বাইরে অন্যসব পরীক্ষারর কথা কেবলি অাওয়াজ, কেবলি প্রচার। তার ভেতরে সত্য নেই, থাকে না।
তাই দেখতে হবে দেশের মানুষের স্বাধীনতা অাছে কিনা। কিসের স্বাধীনতা? স্বাধীনতা নিজ নিজ মতামত প্রকাশ করবার।স্বাধীনতা চলাফেরা। কিন্তু তারও অাগে অাসে খাওয়া - দাওয়ার ব্যাপারটা। স্বাধীনতা থাকা চাই খিদে পেলে খাবার। সে স্বাধীনতা যদি না থাকে, ক্ষিদে পেলে যদি খাওয়া না পাই, যদি শুকিয়ে যাই অনাহারে, মরে যাই অাকালে, তাহলে স্বাধীনতা কিসের? রোগ হলে যদি কেউ চিকিৎসা না পায় তাহলে কি বলা যাবে সেই মানুষটি স্বাধীন? স্বাধীনতা থাকা চাই জামা কাপড় পরার। কেউ যদি কাপড় না পায় গা ঢাকবার, তাহলে সে কোন স্বাধীন কি স্বাধীন না এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে কি লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেলতে হবে না অামাদের? অথবা এমন যদি হয় লোকটার কোন ঠিকানাই নেই, সে পড়ে থাকে যেখানে সেখানে যেন ইট, কিংবা পাথর। সেই যে ইঁট পাথরেরও মতো মানুষটি, সে লাথি খায়, গুঁতো খায় যেতে অাসতে। তুলে ফেলে দেয় হয়তো কেউ রেগেমেগে, তার কাছে খাতা হাতে গিয়ে তুমি কি জিজ্ঞেস করবে, -" ওহে ভাই তুমি কি স্বাধীন?" পারবে জিজ্ঞেস করতে?
স্বাধীনতা অাসলে এ সবই। এসবই স্বাধীনতার পরীক্ষা। দেখতে হবে দেশের মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, বস্ত্র, চিকিৎসার সুযোগ অাছে কিনা, তার শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা রয়েছে কি নেই। স্লোগান নিয়ে, অাওয়াজ দিয়ে, সভা করে, কবিতা লিখে, কিংবা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা ছাপিয়ে অামরা হট্টগোল বাধাতে পারবো হয়তো ঠিকই, কিন্তু এই যে একেবারে প্রাথমিক অধিকারগুলোর কথা বললাম, এগুলো যদি না থাকে দেশের মানুষের, তাহলো অবশ্যই বুঝতে হবে এর ভেতরে কোথাও একটা গোলমাল অাছে। স্বাধীনতা ঠিক স্বাধীনতা হয়ে ওঠেনি। .................
No comments